মৌর্যবংশ( ৩২৪-১৮৫ খ্রিষ্টপূর্ব)[Maurya Dynasty]

প্রতিষ্ঠা ও নামকরনঃ-

  • মন্ত্রী কৌটিল্য বা চাণক্যের সহায়তায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ বংশের শেষ রাজা ধননন্দকে সিংহাসনচ্যুত করে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা করেন ।
  • চন্দ্রগুপ্তের মা অথবা দিদিমা শূদ্রকন্যা মুরার নাম অনুসারে তাঁর বংশের নামকরণ হয়েছিল মৌর্যবংশ ।
  • বৌদ্ধগ্রন্থ মহাপরিনির্বাণ সূত্র-তে বলা হচ্ছে যে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ছিলেন হিমালয়ের পাদদেশে পিপ্পলিবন নামক স্থানের মোরিয় নামে এক প্রজাতান্ত্রিক ক্ষত্রিয় গােষ্ঠীর সন্তান। মোরিয় নাম থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ মৌর্যবংশ নামে পরিচিত হয়েছে।
  • জৈন সূত্রে তাকে বলা হয়েছে ময়ূরপোষক, তিনি বিন্ধ্য পর্বতের জঙ্গলে ময়ূর পালকদের মধ্যে মানুষ হয়েছিলেন। তাই তাঁর বংশের নামকরণ হয়েছিল মৌর্যবংশ ।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (৩২৪-৩০০ খ্রিষ্টপূর্ব)[Chandragupta Maurya] :

  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট মনে করা হয়।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গ্রিকরা বলত স্যান্ড্রা কোট্টাস বা মুক্তিদাতা।
  • আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস নিকাটোরকে তিনি যুদ্ধে পরাজিত করেন (৩০৫ খ্রি.পূ.) এবং কাবুল, কান্দাহার, হিরাট ও বেলুচিস্তান দখল করেন । সেলুকাস তাঁর কন্যা হেলেন-এর সঙ্গে চন্দ্রগুপ্তের বিবাহ দেন । এইভাবে তিনি তাঁর সাম্রাজ্য মগধ থেকে সিন্ধুতীর পর্যন্ত বিস্তৃত করেন ।
  • তার পর তিনি মালয় ও কাথিয়াবাড় তাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত করেন । তাঁর সাম্রাজ্য সীমা সৌরাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে ।
  • শাসন ব্যাবস্থা:
    • কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ও মেগাস্থিনিসের (সেলুকাস প্রেরিত গ্রিক দূত) ইন্ডিকা থেকে তাঁর শাসনব্যাবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় ।
    • চন্দ্রগুপ্তের শাসনব্যাবস্থা ছিল স্বৈরতান্ত্রিক । রাজাই ছিল সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী । আইন, বিচার, শাসন ও সামরিক ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন সম্রাট । তবে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেও তিনি শাসনকার্যে মন্ত্রিপরিষদের সাহায্য গ্রহণ করতেন। রাজা প্রয়োজনে মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করতে পারতেন ।
    • রাজকার্যে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন কর্মচারী নিযুক্ত করা হত। এঁদের মধ্যে অমাত্যরা ছিলেন রাজস্ব, অর্থ, বিচার, প্রশাসন প্রভৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিষ্ঠিত । অর্থশাস্ত্র থেকে আমরা ১৮টি সর্বোচ্চ পদের (তীর্থ) নাম জানতে পারি, যার মধ্যে মন্ত্রী (মুখ্যমন্ত্রী), পুরোহিত, যুবরাজ ও সেনাপতি ছিলেন প্রধান । বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব থাকত অধ্যক্ষদের হাতে । অর্থশাস্ত্রে ৩২ জন অধ্যক্ষের নাম পাওয়া যায় । কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতিগত বা সম্প্রদায়গত কোনো বাধা ছিল না । কর্মচারীদের নগদ বেতন দেওয়া হত । মৌর্য সম্রাট গুপ্তচর মারফত দেশের সব খবরাখবর রাখতেন ।
    • রাজা বিচার বিভাগের প্রধান হলেও গ্রাম ও শহরে বিশেষ বিচারালয় ছিল ।
    • মৌর্য যুগে উৎপন্ন শস্যের ১/৬ অংশ রাজস্ব হিসাবে গ্রহণ করা হত, যদিও প্রয়োজনে এই হার কমানো বা বাড়ানো হত । এই যুগে দু ধরনের করের কথা জানা যায় । যথা- ভাগ ও বলি। ভাগ ছিল ভূমিকর । আর বলি ছিল এক বিশেষ ধরনের কর, যা জমি থেকে আদায় করা হত কয়েকজন কর্মচারীর বেতন প্রদানের জন্য ।
    • কর থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটা বড়ো অংশ ব্যয়িত হত সামরিক খাতে । সামরিক বিভাগের দায়িত্ব ছিল ৩০ জন সদস্যবিশিষ্ট এক পরিষদের উপর, যা আবার ৫ জন সদস্য নিয়ে ৬ টি ভাগে বিভক্ত ছিল । এই বিভাগগুলি অশ্ব, রথ, হস্তী, পদাতিক, নৌ-বহর এবং খাদ্য ও পরিবহণের দায়িত্ব বহন করত ।
    • শাসন কার্যের সুবিধার জন্য মৌর্য সাম্রাজ্য কয়েকটি প্রদেশ এবং প্রদেশগুলি আবার অহর ও বিষয়ে (জেলা) বিভক্ত ছিল। প্রদেশের শাসনভার প্রধানত রাজ পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হত । সবশেষে ছিল গ্রাম যার পরিচালনা করতেন গ্রামিক । চার পাঁচটি গ্রামের দায়িত্বে থাকতেন “গোপ”। পাটলিপুত্রের শাসনদায়িত্ব ছিল ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিষদের হাতে, যা আবার ৫ জন সদস্য নিয়ে ৬ টি ভাগে বিভক্ত ছিল। এক একটী বিভাগ এক একটি বিষয়ের দায়িত্বে থাকতো। মৌর্য শাসনব্যাবস্থা দক্ষতার সঙ্গে প্রজাকল্যাণের মেলবন্ধন ঘটিয়েছিল।
    • জৈন শাস্ত্র পরিশিষ্ট-পার্বণ অনুযায়ী জানা যায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন এবং শেষ জীবনে জৈন পন্ডিত ভদ্রবাহুর সঙ্গে মহীশুরের শ্রাবণবেলগােলায় যান এবং সেখানে অনশনে প্রাণ ত্যাগ করেন।

বিন্দুসার (আনুমানিক ৩০০ - ২৭৩ খ্রি.পূ.):

  • চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র বিন্দুসার (৩০০-২৭৩ খ্রি.পূ.) অমিত্রঘাত বা শত্রুনিধনকারী উপাধি নিয়ে মগধের সিংহাসনে বসেন ।  তিব্বতীয় ঐতিহাসিক তারানাথের মতে বিন্দুসার সুদূর দাক্ষিণাত্য পর্যন্ত সাম্রাজ্য বিস্তার  করেন।
  • তিব্বতীয় ঐতিহাসিক লামা তারানাথ এর রচনা থেকে জানা যায় যে, কৌটিল্য বিন্দুসারের রাজত্বকালেও কিছুকাল তার মন্ত্রী ছিলেন এবং এ সময়ে কৌটিল্য ষােলােটি শহরের নৃপতি ও অভিজাতদের ধ্বংস করে বিন্দুসারের সাম্রাজ্য পূর্ব সাগর থেকে পশ্চিম সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত করেন।
  • পিতা চন্দ্রগুপ্তের মতো তিনি গ্রীক রাজ্যগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। সিরিয়ার রাজা সেলুকাসের পুত্র প্রথম অ্যান্টিওকাস মেগাস্থিনিসের পরে তার রাজসভায় ডেইমেকস নামে এক দূত পাঠান। বিন্দুসার এক পত্রের মাধ্যমে সিরিয়া রাজকে কিছু মিষ্টি মদ, ডুমুর ও একজন সােফিস্ট (গ্রিক দার্শনিক) পাঠাবার অনুরােধ করেন। অ্যান্টিওকাস অন্যান্য দ্রব্যাদি পাঠালেও সােফিস্ট পাঠান নি, কারণ গ্রিক নিয়ম অনুসারে দার্শনিকদের বিদেশে পাঠানাে নিষিদ্ধ ছিল। মিশর রাজ টলেমি ফিলাডেলফাস মৌর্য রাজসভায় ডায়ােনিসাস নামে জনৈক দূত পাঠান।
  • বিন্দুসার আজীবিক ধর্মসম্প্রদায়ে বিশ্বাসি ছিলেন। বিন্দুসার আধ্যাত্মিক শিক্ষক পিঙ্গলবস্ত একজন ব্রাহ্মণ আজীবিক ছিলেন। বিন্দুসারের পত্নী সুভদ্রাঙ্গী আজীবিক ধর্মমতে বিশ্বাসী ছিলেন। বিন্দুসার বেশ কিছু ব্রাহ্মণভট্টো বা ব্রাহ্মণ মঠ দান করেন।
  • গ্রিকরা তাকে অমিত্ৰচ্যাট বলত।

অশোক [Ashoka] (আনুমানিক ২৭৩ - ২৩২ খ্রি.পূ.):

  • বিন্দুসারের মৃত্যুর পরে তার পুত্র অশােক ভাইদের হত্যা করে সিংহাসনে বসেন। কথিত আছে তিনি তার ৯৯ জন ভাইকে হত্যা করেন এবং শুধুমাত্র ছোটভাই তিস্সাকে ছেড়ে দেন। এজন্য অশোককে ‘চন্ডাশােক’বলা হয়ে থাকে। ‘দিব্যবদন’ এবং ‘সিংহলী’ উপাখ্যানে অশোকের সাথে তার ভ্রাতাদের বিরোধের কথা উল্লেখ রয়েছে।
  • অশোকের বিভিন্ন নাম / উপাধি
    • অশোক – ব্যক্তিগত নাম। মাস্কি মাইনর শিলালিপিতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
    • প্রিয়দর্শী – অভিষেকের পর সরকারি নাম।দ্বীপবংস , কান্দাহার শিলালিপি এবং বরাবর গুহলেখতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
    • দেবনামপ্রিয় – রাজকীয় নাম। গুর্জর মাইনর শিলালিপিতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
    • মগধের রাজা – ভাবরু শিলালেখতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
    • অশোক বর্ধন – পুরানে এই নামে উল্লেখ রয়েছে।
    • অশোক মৌর্য – জুনাগড় শিলালেখতে এই নামের উল্লেখ রয়েছে।
  • অশােক প্রথম জীবনে ছিলেন উজ্জয়িনীর শাসনকর্তা। পরে তক্ষশীলায় প্রজাবিদ্রোহ হলে তাকে সেখানে পাঠানাে হয়। তক্ষশিলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে অশােক তার যােগ্যতা দেখান।
  • কলিঙ্গ যুদ্ধ (২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ) :অশােকের রাজত্বের অষ্টম বছরে ২৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মতান্তরে ২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কলিঙ্গ যুদ্ধ হয়। দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে স্থল ও জলপথে যোগাযোগের জন্য কলিঙ্গ জয় জরুরি ছিল । এই যুদ্ধে দেড় লক্ষ মারা যায় এবং বহু লােক বন্দী বা নিরুদ্দেশ হয়। যুদ্ধ জয়ের পর কলিঙ্গ মৌর্য সাম্রাজ্যভুক্ত হয় এবং এর রাজধানী হয় তোসালি। ভক্ৰ শিলালিপি থেকে জানা যায় যে কলিঙ্গ যুদ্ধের দুবছর পর বৌদ্ধপণ্ডিত উপগুপ্তের নিকট বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা নেন। বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের প্রতি তাঁর বিশ্বাস বেড়ে যায়। কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে চণ্ডাশোক, ধর্মাশোকে পরিণত হয়।
  • ধর্মপ্রচার : বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হবার আগে অশোক ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান ছিলেন। কাশ্মীরের ঐতিহাসিক কলহনের মতে তিনি ছিলেন শিবের উপাসক। অশোক পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য শ্রীলংকা বা সিংহলে পাঠিয়েছিলেন। অশােকের সময় পাটলিপুত্রে ২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৃতীয় বৌদ্ধসঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন মােগলিপুত্র তিস্য। অশােক তৃতীয় বৌদ্ধসঙ্গীতের পরে কিছু বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে নির্বাচিত করে কিছু স্থানে পাঠান বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য। তিনি তাঁর প্রচারিত ধর্মকে বৌদ্ধধর্ম না বলে শুধু ধম্ম বা ধর্ম বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সাঁচীর স্তুপ নির্মাণ করেছিলেন।
  • অশোক তাঁর শিলালিপিতে বলেছেন “সকল মানুষই আমার সন্তান”।
  • সাম্রাজ্য :কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ থেকে জানা যায় কাশ্মীর মৌর্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং অশােক শ্রীনগর শহর প্রতিষ্ঠা করেন। অশােকের দ্বিতীয় শিলালিখ থেকে জানা যায় তার সাম্রাজ্য দক্ষিণ সীমান্ত চোল, পান্ড, সত্যপুত্র, কেরলপুত্র ইত্যাদি প্রতিবেশি দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
  • প্রজাকল্যানকর কাজ :অশােক বলেছিলেন ‘সবে মুনিষে প্রজা মম’ অর্থাৎ সকল মানুষই আমার সন্তান। অশোকের আমলে রাজপথ নির্মাণ, পথের পাশে বৃক্ষরােপণ, কূপ খনন, পান্থশালা নির্মাণ, মানুষ ও পশুদের জন্য চিকিৎসালয় স্থাপন এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঔষধি চারা রােপণ করা হয়।
  • অশোকের লিপি ১৮৩৭ সালে অশোকের লিপির পাঠোদ্ধার করেন – জেমস প্রিন্সেপ। শিলালিপিগুলি প্রধানত প্রকৃত ভাষায় লেখা হত। উত্তর-পশ্চিমে খরোষ্ঠী ভাষায়, পশ্চিমে গ্রিক এবং আরামাইক ভাষায় এবং পূর্বে ব্রাম্হি ভাষায় লেখা হত। অশোকের রানীদের মধ্যে একমাত্র কারুবাকি এবং পুত্রদের মধ্যে একমাত্র তিভারা বা তিবরের নাম শিলালেখগুলিতে পাওয়া যায়। অশোকের প্রধান ১৪টি শিলালেখ
    • I বলিপ্রথা বন্ধ এবং অনুষ্ঠানে একসঙ্গে জমায়েত হওয়া।
      II সমাজকল্যাণের বিভিন্ন ব্যবস্থা।
      IIIব্রাহ্মণদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ।
      IVআত্মীয় এবং গুরুজনদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান
      Vধর্ম মহামাত্রদের নিযুক্তিকরণ ও তাদের দায়িত্ব
      VIদক্ষ সংস্থা ও অনুশাসনের প্রয়োজনীয়তা
      VIIসর্ব ধর্ম সহিষ্ণুতা
      VIIIধর্ম যাত্রা
      IXঅর্থহীন রীতিনীতির বিরোধিতা
      Xযুদ্ধের পরিবর্তে ধর্মের মাধ্যমে জয়।
      XIধর্মনীতির ব্যাখ্যা
      XIIসব ধর্মকে মিলে মিশে থাকার আবেদন।
      XIIIকলিঙ্গ যুদ্ধ এবং ৫টি সমসাময়িক গ্রিক রাজার উল্লেখ
      XIVধর্মীয় জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা

অশোকের পরবর্তী মৌর্য শাসকগণ:

  • বায়ুপুরান অনুসারে অশোকের পরে তাঁর পুত্র জেষ্ঠ্য পুত্র কুনাল সিংহাসনে বসেন। কুনাল সুপথ নামেও পরিচিত।
  • কুণালের মৃত্যুর পরে দশরথ সিংহাসনে বসেন।
  • দশরথের কোনো পুত্র না থাকায় তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর অনুজ সম্প্রতি সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন জৈন ধর্মালম্বী।
  • সম্প্রতির পরে সিংহাসনে বসেন সালিসুক।
  • সালিসুকের পরে দেববর্মা, দেববর্মার পরে শতধনুষ, শতধনুষ-এর পরে বৃহদ্রথ মগধের সিংহাসনে বসেন।
  • মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট ছিলেন বৃহদ্রথ।
  • বৃহদ্রথের সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৃহদ্রথকে হত্যা করে মগধে মৌর্য শাসনের অবসান ঘটান।